Skip to content

অমিক্রন সত্ত্বেও ২০২২ সাল নিয়ে মানুষ আশাবাদী

    করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো দূর হয়নি। নতুন আতঙ্ক হিসেবে হাজির হয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন। ইতিমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও ভারতে অমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২২ সাল সম্পর্কে মানুষ খুবই বিস্ময়করভাবে ইতিবাচক। অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণেই তাঁরা সে রকম মনে করছেন।

    বৈশ্বিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ইপসোর জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, ২০২২ সাল আগের বছরের চেয়ে ভালো যাবে। বিশ্বের ৩৩টি দেশের ২২ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।বিজ্ঞাপন

    মানুষ আশার ভরসায় বেঁচে থাকে, যাকে বলে যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। সে জন্যই জরিপে এত আশাবাদ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছে ইপসোস। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৭ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ২০২২ সাল আগের বছরের চেয়ে ভালো যাবে। তবে সব জাতির মানুষ একইভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেননি। জাপানিদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মনে করছেন, ২০২২ সাল ভালো যাবে। আর চীনাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ মনে করছেন, এ বছর ভালো যাবে।

    ২০২০ সালের শেষ দিকে যখন একই জরিপ পরিচালনা করা হয়, তখন অংশগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ মানুষই উত্তর দিয়েছিলেন, ২০২০ সাল তাঁদের দেশের জন্য ভালো যায়নি। এক বছর পর ঠিক একই প্রশ্ন অংশগ্রহণকারীদের করা হয়। এবার দেখা গেল, সেই সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ শতাংশ। ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষেত্রে অবশ্য আরও ইতিবাচক চিত্র দেখা যায়। ৫৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, ২০২১ সাল তাঁদের পরিবার ও ব্যক্তিজীবনের জন্য খারাপ ছিল। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৯০ শতাংশ।

    Also Check :  মোটা হওয়ার সহজ উপায় mota howar sohoj upay 2022 | mota howar upay 2022

    মানুষের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করেছে। সেগুলো এ রকম: ১. কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি, ২. সামাজিক অগ্রগতি, ৩. অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার।

    জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা মোটা দাগে বলেছেন, করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের বাড়বাড়ন্ত সত্ত্বেও ২০২২ সালে আশার আলো দেখছেন তাঁরা। তার কারণ মূলত টিকাদানে অগ্রগতি। তাঁরা মনে করছেন, ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ অন্তত কোভিড টিকার এক ডোজ পেয়ে যাবেন।

    এ ছাড়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারও গতি পেয়েছে। নতুন ঢেউ এলেও বিশ্ববাসীর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখন আরও ভালোভাবে সংকট মোকাবিলা করা যাবে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারও এবার স্থিতিশীল যাবে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কা আছে। তা সত্ত্বেও ৪২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটে ধস নামার আশঙ্কা খুবই কম।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x