Skip to content

সম্মিলিত অনুরোধ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশন ভাঙতে

    সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশের শুরু করা আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছেন আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা।

    আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী ‘সম্মিলিত অনুরোধ’ জানিয়ে অনশনরতদের প্রতি এমন অনুরোধ জানান।বিজ্ঞাপন

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোহাইমিনুল বাশার অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন অনশন ভাঙতে। এরপর তাঁর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে অন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও অনুরোধ করেন। এ সময় অনশনকারী শিক্ষার্থী শাহারিয়ার আবেদিন বলেন, ‘আমি আরও কিছুদিন না খেয়ে থাকতে পারব। আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই। আমি অনশন ভাঙব না।’ আরেক অনশনকারীও একই কথা বলেন।

    এরপর মোহাইমিনুল তাঁদের বলেন, তাঁদের এ কষ্ট ও দুর্বিষহ যন্ত্রণা অন্য আন্দোলনকারীরা সহ্য করতে পারছেন না। তাঁরা এটি ভেবে যেন সিদ্ধান্ত নেন। এরপর অনশনকারীরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে নিজেদের মধ্যে জরুরি বৈঠক করেন। এ সময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা খাবার ও পানি গ্রহণ না করায় এখন সংকটাপন্ন অবস্থায়। তাঁদের অবস্থা আন্দোলনকারীরা মেনে নিতে পারছেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে তাঁদের কাছে গিয়ে আমরণ অনশন থেকে তাঁদের সরে আসার অনুরোধ জানাবেন। তবে অনশন থেকে সরে এলেও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলন তাঁরা চালাবেন। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন।

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১৩ দিন ধরেই উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। তাঁদের একজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ি চলে গেছেন তিনি। বাকিরা কেউ হাসপাতালে, কেউ অনশনস্থলে আছেন। তবে প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় তাঁদের অনশন থেকে সরে আসার বিষয়ে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন অন্য শিক্ষার্থীরা।

    Also Check :  অমিক্রন এখনো দ্রুত ছড়াচ্ছে

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x