Skip to content

নাম দেখে নয়, বল দেখে খেলেছেন মাহমুদুল

    টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনারের সঙ্গে কাইল জেমিসনকে নিয়ে গড়া নিউজিল্যান্ড পেস আক্রমণকে বিশ্বসেরা বলাই যায়। দলটির বোলিং কোচ শেন জারগেনসন তো এই চার পেসারে গড়া বোলিং আক্রমণকে তুলনা করেন আশির দশকের ক্যারিবীয় পেস চতুষ্টয়ের সঙ্গে। নিয়ন্ত্রণ, সুইং, সিম, বাউন্স, ভীতিজাগানিয়া শরীরী ভাষা—সবই আছে এই চার পেস বোলারের মধ্যে। সত্যি কথা বলতে কি, তেমন কোনো দুর্বলতাই যে চোখে পড়ে না কিউই চতুষ্টয়ের মধ্যে।

    তাঁদের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা মাহমুদুল হাসান ২২৮ বল খেলে করেছেন ৭৮ রান। মাহমুদুল প্রায় তিন সেশন ব্যাটিং করায় মুমিনুল হক, মুশফিক রহিম ও লিটন দাসকে নিয়ে সাজানো মিডল অর্ডারকে চাপের মুখে ব্যাটিং করতে হয়নি। ধৈর্য ও সাবধানী ব্যাটিংয়ে সাজানো ইনিংসের পেছনের গল্পটাও অদ্ভুত।

    ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটসম্যান নাকি কিউই বোলারদের তারকাখ্যাতিকে পাত্তাই দেননি! মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দলের পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা। ওরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল। আমি এ ক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের নাম না দেখে বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি।’

    নিজের সাবধানী ব্যাটিংয়ের পেছনে আরও কিছু ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছেন মাহমুদুল, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিল—সাদমান ভাই, শান্ত (নাজমুল হোসেন) ভাই, মুমিনুল ভাই—সবাই একই কথা বলেছে। এটিই ছিল উইকেটে শান্ত থেকে ব্যাটিং করার পেছনের ভাবনা।’

    Also Check :  জোহানেসবার্গে খেলছেন না কেন কোহলি

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x