Skip to content

নতুন বছর হবে উদ্যোক্তাদের উঠে দাঁড়ানোর সময়

    মহামারির শুরুতে আমরা বড় ধরনের হোঁচট খেলেও সেই ধাক্কা এখন অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ দেশের উদ্যোক্তারা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন বছরে আরও সামনে এগিয়ে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী।

    মহামারির সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখা। মহামারি প্রতিরোধে শুরুর দিকে নেওয়া দেশি-বিদেশি নানা পদক্ষেপে এই সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। বিদেশ থেকে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য সংগ্রহে যেমন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে, তেমনি ভাড়া বাবদ বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। পণ্যের আমদানি মূল্যও বেড়েছে। আর বছর শেষে ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে নানাভাবে হোঁচট খেলেও উদ্যোক্তারা থেমে থাকেননি।বিজ্ঞাপন

    বৈশ্বিক অবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে আমরা দেখতে পাব, মহামারির ঢেউ বাংলাদেশে একটু পরে এসেছে। এখন করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। অর্থাৎ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি আমরা।

    এ দেশের উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন। মহামারির নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়লেও যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে খুব বেশি সমস্যা হবে বলে মনে করি না। এ জন্য শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষার পদক্ষেপ নিলেই চলবে না। সরবরাহ ব্যবস্থা যাতে ঠিক থাকে, সে জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যেখানে অবকাঠামোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার, সেখানে জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থাৎ অবকাঠামো খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা গেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। কারণ, বড় প্রকল্পে বেশি সময় লাগার অর্থ হলো খরচ বেড়ে যাওয়া।

    Also Check :  খুলে গেল ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণের তালা

    এ দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য শুধু সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিসহায়তা দরকার। উদ্যোক্তারা যাতে এগিয়ে যান, সে জন্য মহামারির শুরুতে অনেক পদক্ষেপই নিয়েছে সরকার। সেই নীতিসহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সহজে ব্যবসা করার প্রক্রিয়াগুলোতে গতি আনতে হবে। তাহলে বেসরকারি খাতই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সহজ করে বললে, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো দ্রুত বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো দরকার। আমার বিশ্বাস, এ দেশের উদ্যোক্তারা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবেন। করোনার প্রথম বছর ছিল উদ্যোক্তাদের হোঁচট খাওয়ার বছর। গত বছর ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। নতুন বছর হবে উদ্যোক্তাদের উঠে দাঁড়ানোর বছর। নতুন বছরে এই আশাবাদ করতে পারি।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x