Skip to content

রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য ফেসবুককে দায়ী করা যাবে কি

    মিয়ানমারে গণহত্যায় উসকানিতে ফেসবুক ব্যবহার করা হলেও তা নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়।

    ২০১৮ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের প্রধান লেখকের মতে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধদের চালানো সহিংসতায় নির্ধারক ভূমিকা পালন করে ফেসবুক।

    ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার ঠেকাতে তারা যথেষ্ট কাজ করেনি।

    কিন্তু মিয়ানমারে যা ঘটেছে, তার জন্য ফেসবুকই দায়ী কি না, সেটা একটা জটিল প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো শিগগির পাওয়া যেতে পারে।বিজ্ঞাপন

    আটলান্টিকের উভয় পাশে বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রচার চলছে। এ ক্ষেত্রে দাবি উঠেছে যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার সময় ব্যবহারকারীদের উসকানিমূলক বিষয়বস্তু ছড়ানোর সুযোগ দেওয়ায় ফেসবুককে দায়ী করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

    গত ৬ ডিসেম্বর ফেসবুকের লন্ডন কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের আদালতে মামলা করার বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের পক্ষে ফেসবুকের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হবে।

    একই দিনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি মামলা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে এই মামলাটি করা হয়। মামলায় রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি, জখম, দুর্দশা, ভোগান্তি, মানসিক যন্ত্রণা, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জন্য অন্তত ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

    মার্কিন ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচারিত বিষয়বস্তুর দায় থেকে রেহাই পেয়ে থাকে। তাই রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে করা মামলায় যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে মিয়ানমারে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার বিচারে মার্কিন আদালতকে অবশ্যই বর্মিজ আইন বিবেচনায় নিতে হবে। এ রকম মামলায় মার্কিন আদালত অবশ্য তাত্ত্বিকভাবে বিদেশি আইন প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তার নজির খুবই কম।

    Also Check :  করোনা সংক্রমণ বাড়ায় পশ্চিমবঙ্গে আবার বিধিনিষেধ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x