Skip to content

মূল চ্যালেঞ্জ হবে ঋণ আদায়

    নতুন বছরের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জকে আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করতে পারি। এর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাংক খাত।

    সামষ্টিক অর্থনীতিতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে অনেক। উল্লেখযোগ্য প্রত্যাশাগুলো হলো মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ধারা যেন অব্যাহত থাকে, ডলার ও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সিএমএসএমই ও কৃষি খাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা।

    এই প্রত্যাশাগুলোর বিপরীতে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সে অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া। অমিক্রনকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করছি, পুরো জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকার আওতায় আনতে পারছি কি না—এগুলো হবে দেখার বিষয়।বিজ্ঞাপন

    আমাদের অর্থনীতির দুই মূল চালিকা শক্তি হলো তৈরি পোশাক রপ্তানি ও প্রবাসীদের পাঠানো আয় (রেমিট্যান্স)। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ—এ দুইয়ের ওপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ব্যাপক পরিমাণ মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে। তার বিপরীতে যদি রপ্তানি তুলনামূলক না বাড়ে, সেটা হবে একটা বড় আঘাত। এ মুহূর্তে ডলার ও টাকার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে বড় ব্যবধান বিরাজ করছে। এ ব্যবধান সাম্প্রতিক কালের সর্বোচ্চ। সুস্থ ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে এই ব্যবধান সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা উচিত।

    কোভিড-১৯ প্রণোদনার ঋণের কারণে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে বেশি। ফলে মানুষের আর্থিক সম্পদ তার মূল্যমান হারাচ্ছে। এ অবস্থায় ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ শতাংশ ধরে রাখা সহজ হবে না। এ ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

    Also Check :  নতুন বছরেও দেশীয় ট্যুরের ওপর নির্ভর করতে হবে

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    x